ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে উজিরপুরের ইচলাদী বাসস্ট্যান্ডে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় হানিফ পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেশ কয়েকটি দোকান ঘর ও যানবাহন চাপা দিলে ১১ জন নিহত হয়। উজিরপুর মডেল থানার ওসি আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ৫০ জন। আহতদের শেরেবাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত সাড়ে ৮টার পর থেকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বরিশালগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইচলাদী বাসস্ট্যান্ডে শুরু থেকে টোলঘর পর্যন্ত ৬টি দোকান, ৫টি রিক্সা, ৩টি মিশুক ও একটি টেম্পোকে চাপা দিয়ে খাদে পড়ে যায়। এতে স্ট্যান্ডের রিক্সা চালক, মিশুক চালক ও পথচারীসহ ১১ জন নিহত হয়। খবর পেয়ে উজিরপুর থানা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা খাদে পড়া বাসটি উদ্ধার করে।
উজিরপুর হাসপাতাল, প্রত্যক্ষদর্শী ও শেবাচিম হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ঘটনাস্থলেই ৯ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা নিহত হয়। তবে প্রাথমিকভাবে নিহত ও আহতদের সকলের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিহতরা হলেন—মামুন আকন (২২), নীল শরীফ (৪০), জাহাঙ্গীর (৪০), ইউনুস (৪৫), হারুন হাওলাদার (৫২), সেলিম (৩২), নজরুল মীর, জুয়েল বিশ্বাস, মতিউর ও মোজাম্মেল। বাকি ১ জন নিহতের পারিচয় পাওয়া যায়নি। জেলা পুলিশ সুপার একেএম এহসান বলেন, আহতদের উন্নত চিকিত্সা দিতে আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম অফিস:নগরীর বিমানবন্দর সড়কে ট্রেইলর ও টেম্পো চালকের অসতর্কতায় প্রাণ হারালেন ৩ টেম্পো যাত্রী। সল্টগোলা এলাকায় সিসিটি জেটির সামনে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় পণ্যবাহী ট্রেইলরের সাথে যাত্রীবাহী টেম্পোর সংঘর্ষে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, এক হাতে মোবাইল ফোন ও অপর হাতে স্টিয়ারিং ধরে গাড়ি চালাচ্ছিল টেম্পো চালক। এ সময় একটি পণ্যবাহী ট্রেইলর বিমানবন্দর সড়ক থেকে সিসিটি জেটির ২ নম্বর গেট দিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ভেতরে প্রবেশ করছিল। মোবাইল ফোনে কথা বলতে থাকার কারণে চালক সামনে থাকা ট্রেইলরকে দেখতে পায়নি। ফলে টেম্পোটি ট্রেইলরের ওপর আছড়ে পড়ে। এতে টেম্পোটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
বন্দর থানার ওসি মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মারাত্মক আহত হন টেম্পোর ৬ যাত্রী। তাদের চমেক হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিত্সক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে ২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন—কফিল উদ্দিন (৩৫) ও ফরিদা বেগম (৩৫)। নিহত অপরজন অজ্ঞাত পরিচয় পুরুষ (২৭)। আহত হয়েছেন শহীদ, আশিষ পাল ও সুমি।