ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান বন্ধে আন্তর্জাতিক চাপ প্রতিহত করা হবে।
ইসরাইল মঙ্গলবার থেকে সেখানে এক হাজারেরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে এবং ২০১২ সালে চালানো অভিযানে যে শক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল তা দ্বিতীয়বারের মত এখন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ফিলিস্তিনী কর্মকর্তারা বলেছেন, ইসরাইলের বিমান হামলায় এখন পর্যন্ত ১শ' ২১ জন নিহত হয়েছে। হামাস জঙ্গিরাও গাজা থেকে ইসরাইলে রকেট হামলা অব্যাহত রেখেছে। রকেট হামলায় ইসরাইলে ক্ষয়ক্ষতি ও লোকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
নেতানিয়াহু বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেলের সঙ্গে টেলিফোনে তার 'খুবই ইতিবাচক' আলোচনা হয়েছে।তিনি বলেন, 'কোন আন্তর্জাতিক চাপ আমাদেরকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করা থেকে বিরত রাখতে পারবে না।'
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরাইলের সামরিক অভিযানে এখন পর্যন্ত ৭শ' ৫০ জনের মত আহত হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক। ইসরাইল মঙ্গলবার থেকে গাজায় অপারেশন প্রোটেকটিভ এজ শুরু করেছে।
জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় জানিয়েছে, গাজায় এ পর্যন্ত নিহতদের মধ্যে ৭৭ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক। ইসরাইল বলছে, নিহতদের মধ্যে 'বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী' রয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার নাভি পিল্লাই বলেন, বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার ওপর যে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা ইসরাইল সামরিক অভিযানের সময় মেনে চলছে কিনা সে ব্যাপারে 'খুবই সন্দেহ' রয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, হামলার সময় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিক হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে যা খুবই উদ্বেগজনক ।
ইসরাইল বারবার বলে আসছে, তারা বেসামরিক প্রাণহানির ঘটনা এড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে তারা এও বলেছে, জঙ্গিরা প্রায়ই আবাসিক এলাকাগুলোতে তাদের ঘাঁটি গেড়ে অবস্থান নেয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র গাজায় একটি অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে। নেতানিয়াহুকে ফোন করার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ২০১২ সালের নভেম্বরের অস্ত্রবিরতি চুক্তিতে প্রত্যাবর্তনসহ বৈরীতা হরাসে সহায়তা করতে প্রস্তুত যুক্তরাষ্ট্র। মিসর ও তুরস্ক ইসরাইলের শক্তি ব্যবহারের সমালোচনা করেছে। বেশ কয়েকটি দেশে ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিক্ষোভ হয়েছে। খবর এএফপির।