ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার জন্য বিএনপি-জামায়াত ও জঙ্গিবাদী চক্র এখন ষড়যন্ত্রে নেমেছে। তারা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী এ দলকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। দেশবিরোধী এই ষড়যন্ত্রের প্রধান পৃষ্টপোষক হচ্ছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।'
আজ শনিবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক স্মরণ সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। ২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে দিনের বেলায় আড়াআড়ি বাস রেখে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীবাহী মাইক্রোবাস আটকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আট ছাত্রলীগ নেতাকে। তাদের স্মরণে এই সভার আয়োজন করা হয়। ছাত্রলীগ সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম আমিন, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বাহাদুর বেপারী, ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি শাহাজাদা মহিউদ্দিন, জহিরউদ্দিন মাহমুদ লিপ্টন, ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নজমুল আলম, দপ্তর সম্পাদক শেখ রাসেল প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, '২০০৯ সাল থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যতটা এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশের আর কোনো সরকারের আমলে এত উন্নয়ন হয়নি। এই সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো সফল কূটনৈতিক সম্পর্কের মাধ্যমে দুবার সমুদ্র বিজয় করা।'
ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দকে অনুপ্রবেশকারীদের ব্যাপারে সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, 'যারা নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবার বলে মানুষ হত্যা করে তারা ইয়াজিদের অনুসারী। সেই একই কায়দায় চট্টগ্রাম কমার্সিয়াল কলেজের ছাত্রলীগের ৮ নেতা-কর্মীকে হত্যা করা হয়েছিল। আসলে জামায়াত-শিবির মানুষ হত্যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আর এ হত্যার রাজনীতির ষড়যন্ত্রকারীদের প্রধান পৃষ্টপোষক হলেন খালেদা জিয়া।'
ইঅ/চৌফে/শ২৫৯