পর্যটক ও মিয়ানমার থেকে আমদানি পণ্যবাহী যানবাহন যাতায়তের একমাত্র মাধ্যম কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের ১৪টি পয়েন্ট যানবাহন চলাচল অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গত রবিবার প্রবল বর্ষণে উখিয়ার ছাদৃকাটা এলাকায় নির্মাণাধীন ব্রিজ সংলগ্ন বিকল্প সড়ক ভেঙ্গে ৪ দিন ধরে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় উভয় পার্শ্বে আটকা পড়েছে শত শত পণ্যবাহী যানবাহন।
কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কপথের বিভিন্ন স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ কালভার্টগুলো অপসারণ করে তদস্থলে নতুন করে ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণের জন্য দুইটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হয় ২০১৩ সালের শুরুতে। ২০১৫ সালের মধ্যে ব্রিজ কালভার্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার চুক্তিতে দায়বদ্ধ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কক্সবাজার উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনাল ও মনিকো ইন্টারন্যাশনাল যথাসময়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজ কালভার্টগুলো অপসারণ করে তদস্থলে দায়সারা ও নিম্নমানের বিকল্প সড়ক তৈরি করে তাদের দায়িত্ব শেষ করতে দেখা গেছে।
গত ১৯ জুলাই রবিবার রাতের প্রবল বর্ষণে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়ার সাদৃকাটা এলাকায় একটি ডাইভারশন সড়ক পানির তোড়ে ভেঙ্গে গেলে সড়ক যোগাযোগ অচল হয়ে পড়ে। বিকল্প গ্রামীণ সড়ক দিয়ে স্থানীয় ছোটখাট যানবাহন চলাচল করলেও স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি তাদের ব্যবহার্য সড়ক দাবি করে গত সোমবার ওই রাস্তাটি কেটে দিলে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়।
বিকল্প সড়ক নির্মাণের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কক্সবাজার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরে-ই আলম জানান, বিকল্প সড়কটির উপরে একটি বেইলী ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে। এর আগে মরিচ্যা নির্মাণাধীন ব্রিজের পার্শ্বে দায়সারাভাবে তৈরি করা ডাইভারশন সড়ক বিধ্বস্ত হয়ে একদিন যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে।
সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার আওতাধীন ৮টি ব্রিজের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। বাদবাকি যেসব ব্রিজ অসম্পূর্ণভাবে রয়েছে তা অন্য একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের।
উখিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সাইফুল ইসলাম সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের প্রতি যত দ্রুত সম্ভব সড়ক উন্নয়নের কাজসম্পন্ন করে দেয়ার নির্দেশ দেন। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নুরে-ই আলম জানান, যতদ্রুত সম্ভব সময়ের মধ্যে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করার জন্য সব রকমের প্রচেষ্টা চলছে।