প্যাকেট সুইচ পদ্ধতি ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহার করা হয়
একাদশ ও দ্বাদশ
প্রকাশ কুমার দাস
বিভাগীয় প্রধান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরী গার্লস কলেজ, ঢাকা
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজও ২য় অধ্যায়-কমিউনিকেশন সিস্টেমস ও নেটওয়ার্কিং থেকে বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করা হলো। এগুলো তোমরা সংগ্রহ করে পড়বে।
গতকালের পর
প্রশ্ন-১। মোবাইল প্রজন্ম কী? বিভিন্ন প্রজন্মের মোবাইল ফোনের বৈশিষ্ট্য লিখ।
তৃতীয় প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য :
১. GSM, EDGE, UMTS এবং CDMA 2000 স্ট্যান্ডার্ড প্রযুক্তির ব্যবহার।
২.প্যাকেট সুইচ পদ্ধতি ডেটা ট্রান্সমিশনে ব্যবহার করা হয়।
৩. উচ্চগতি সম্পন্ন ডেটা পারাপার।
৪. ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভয়েজ এবং ডেটা স্থানান্তর হয়।
৫. সিগন্যাল চারিদিকে সমানভাবে বিভক্ত হয়ে যায়।
৬. এমএমএস, ভয়েস কল ও ভিডিও কলের প্রচলন শুরু।
৭. আন্তজার্তিক রোমিং সুবিধা।
৮. মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট প্রচলন।
৯. উচ্চ গতির সিগন্যাল ফ্রিকুয়েন্সি।
১০.ল্যাপটপে মোবাইল মডেম বা ওয়্যারলেস মডেমের ব্যবহার।
১১. ভিডিও কনফারেন্স করা যায়।
১২. Wi-Fi, Wi-MAX ও WAP প্রটোকলের ব্যবহার।
উদাহরণ : GSM, EDGE, UMTS এবং CDMA 2000।
চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল সিস্টেমের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য :
১. টেলি কমিউনিকেশনের ক্ষেত্রে সেলুলার ওয়্যারলেস স্ট্যান্ডার্ড।
২. উন্নত এন্টিনা সিস্টেমের ব্যবহার।
৩. ডেটা ট্রান্সফার রেট সর্বোচ্চ প্রায় 100 Mbps।
৪.৩য় প্রজন্ম থেকেও উচ্চ গতির ফ্রিকুয়েন্সি।
৫. 4G এর গতি 3G এর চেয়ে প্রায় 10 গুণ বেশি।
৬. টেলিভিশনে অপেক্ষাকৃত উন্নতমানের ছবি এবং ভিডিও লিংক প্রদান করা।
৭. ত্রি-মাত্রিক ছবি প্রদর্শনের ব্যবস্থা।
৮.আইপি নির্ভর ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সিস্টেমে কাজ করে।
উদাহরণ:Wi–MAX, Flash-OFDM (Orthogonal Frequency Division Multiple Access), 3GPP LTE (3rd Generation Partnership Project Long Term Evolution)।