দাদু : ও তাই। ঠিক আছে তোমার কথা। কিন্তু স্যারের 'ধ্বনি' এ 'ধনি' নয়। স্যারের আলোচনার ধ্বনি হচ্ছে ব্যাকরণ ধ্বনি। যা ভাষার ক্ষুদ্রতম একক। কয়েকটি ধ্বনি মিলে অর্থ তৈরি হয়। আরও সহজ হচ্ছে Sound এর বাংলা ধ্বনি। এই ধ্বনিকে কিন্তু ভাষার মুল ভিত্তি বলে।
পিউ : বর্ণেরও কি এমন কিছু দাদু?
দাদু : আছে। এই যে ধ্বনি মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয় তাকেও ধরে রাখতে হয়।
পিউ : কেন মেমোরি কার্ড, মোবাইল ফোনে তো ধরে রাখা যায়।
দাদু : হেসে হেসে বললেন, ঠিক আছে। কিন্তু কোনটি কী,তা কী বোঝা যাবে? আলাদা করে বুঝতে হবে না। তাই পন্ডিতগণ ধ্বনিগুলোকে চিহ্ন দিয়ে ধরে রেখেছেন। এগুলোকে প্রতীকও বলে। এগুলো ছাড়া প্রকাশ করব কিভাবে? যেমন অ, আ, ক, খ, গ এগুলো ধ্বনির চিহ্ন বর্ণ।
অর্ক : দাদু বাংলা ভাষায় কতগুলো বর্ণ আছে?
দাদু : তোমাদের পাঠ্য বইয়ে ৫০টি বর্ণ আছে। স্বরবর্ণ ১১টি এবং ব্যঞ্জণবর্ণ ৩৯টি। বর্ণ আলোচনায় একটি বর্গীয় ব এবং অন্যটি অন্তঃস্থ ব দেখা যায়। তবে আকৃতিতে বর্গীয় ব থেকে অন্তঃস্থ ব আলাদা করা যায় না। প্রাচীন যুগে এ দুটির রূপ ও ধ্বনি উভয়ই ছিল পৃথক। অর্থাত্ প- বর্গের ব তখন ছিল ব আর অন্তঃস্থ ব ছিল 'উঅ'। এখন বাংলায় অন্তঃস্থ ব এর ব্যবহার খুবই সীমিত। এ সংযুক্ত ধ্বনি সাধারণত ব্যঞ্জনের পরে ব-ফলা রূপে এ অন্তঃস্থ ব উচ্চারিত হয়। এজন্য বাঙলা ব্যঞ্জণ বর্ণ ৩৯টি। মোট বর্ণ ৫০টি। তাহলে এগুলো ব্যবহার করে শব্দ গঠিত হয়। এই যে কথা বলছি সেগুলো তৈরি হয়।
অর্ক :বর্ণগুলোর কতগুলো নাকি একাই উচ্চারিত হয়?
দাদু : ঠিক বলেছ। ১১টি একাই উচ্চারিত হয়। আর এগুলোকে স্বরধ্বনি বা স্বরবর্ণ বলে।