উখিয়ার কুতুপালং বস্তিতে অবৈধভাবে বসবাসরত লক্ষাধিক রোহিঙ্গা কাজের সন্ধানে ও ভিক্ষাবৃত্তির নেশায় লোকালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে। ঈদকে সামনে রেখে দান খয়রাত ও ফিতরার আশায় এসব রোহিঙ্গা অবাধভাবে বিচরণ করছে। লোকালয়ে প্রায় প্রতিদিন চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উখিয়ার কুতুপালং রেজিষ্টাড শরণার্থী ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় বনভূমির পাহাড় দখল করে অবৈধভাবে বসবাস করছে লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। ২০১০ সালের নভেম্বরের মাঝামাঝি সীমান্তের নাফ নদী অতিক্রম করে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে তত্কালীন জেলা প্রশাসক এ রোহিঙ্গাদের কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা না করার জন্য বেসরকারি এনজিও সংস্থাগুলোর প্রতি কড়া নির্দেশ প্রদান করেন। এসব রোহিঙ্গা জীবন জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ার কারণে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলেও আইন প্রয়োগকারীর সংস্থার ভূমিকা রহস্যজনক বিধায় এসব রোহিঙ্গা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে চলাফেরা করছে বলে গ্রামবাসীর অভিযোগ। ক্যাম্প ইনচার্জ সোহরাব হোসেন বলছেন, অবৈধ রোহিঙ্গারা তার নিয়ন্ত্রণে নয়। তবে সুনির্দিষ্ট কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
ঈদকে সামনে রেখে এসব রোহিঙ্গারা গ্রামগঞ্জের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ে দান খয়রাত ও ফিতরার টাকা আদায় করলেও লোকালয়ে প্রতিরাতেই চুরি, ছিনতাই বেড়েছে বলে গ্রামবাসীর দাবি। হলদিয়াপালং গ্রামের ছিদ্দিক আহমদ জানান, গত সোমবার রাতে আত্মীয়ের বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে দুর্বৃত্তরা ৪ মহিলার সর্বস্ব ছিনিয়ে নিয়েছে। ওই দুর্বৃত্তদের চিনতে না পারায় ভুক্তভোগী পরিবার তাদেরকে রোহিঙ্গা দাবি করে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনকে আসামি করে উখিয়া থানায় অভিযোগ করেছে। এছাড়া গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডেইলপাড়া, থাইংখালী, জুম্মাপাড়া, সোনাইছড়ি, সোয়াংখালী গ্রামের প্রায় ১১টি বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি, খয়রাতের অজুহাতে রোহিঙ্গারা দিনের বেলায় এসে বসতবাড়ির অবস্থান নিশ্চিত করে রাতে চুরি সংঘটিত করে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বসতবাড়িতে চুরির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বর্তমানে এলাকায় চোর ডাকাতের আতংক বিরাজ করছে। উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ অংসা থোয়াই বলেন, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাইরে পাওয়া মাত্র আটক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।