আর কত মানুষের জীবন গেলে পুরনো ঢাকা থেকে রাসায়নিকের গুদাম সরানো হবে, নিমতলী ট্রাজেডির পর সরকার বেশ ঢাক-ঢোল পিটিয়ে রাসায়নিকের গুদাম সরানোর উদ্যোগ নেয়। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সে প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়।
এখন আবার পুরোদমে রাসায়-নিকের ব্যবসা চলছে পুরনো ঢাকা জুড়ে। এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাতে চকবাজারে রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। সেখান থেকে দগ্ধ একজনের লাশ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ওই আগুন নেভাতে গিয়ে ৫ জন ফায়ারকর্মী আহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা ব্রজেন সরকার জানান, নিহত ব্যক্তি সোয়ারী ঘাটের ৫/৩ চম্পাটুলী লেনে 'গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ' নামের ওই রাসায়নিকের গুদামের তত্ত্বাবধায়ক আবদুল মালেক (৬৫) বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশটি এতো পুড়ে গেছে যে, কিছু বোঝা যায় না। ঘটনার পর থেকে শুধু আবদুল মালেকই নিখোঁজ রয়েছেন। ফায়ার সার্ভিসের এই কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে চম্পাটুলী লেনে ওই গুদামে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১১টি ইউনিট প্রায় ১০ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ব্রজেন সরকার বলেন, আগুন নেভাতে গিয়ে আমাদের পাঁচজন আহত হয়েছেন। তারা প্রাথমিক চিকিত্সা নিয়েছেন। চকবাজার থানার ওসি আজিজুল হক বলেন, ওই টিনশেড গুদামে লাগা আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাশের পদ্মা এন্টারপ্রাইজ, হাবিব অ্যান্ড সন্স, সেলিম এন্টারপ্রাইজ, গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজ ও বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজের রাসায়নিকের গুদামও পুড়ে যায়। তবে সবার তত্পরতায় বহু প্রাণহানি ঠেকানো গেছে। ওসি বলেন, আগুন লাগার পর থেকে গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের তত্ত্বাবধায়ক নিখোঁজ ছিলেন। ভোরে আগুন নেভানোর পর একটি পোড়া ড্রামের পাশে একজন মানুষের অঙ্গার দেহ দেখতে পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। লাশটি এতো পুড়ে গেছে যে, কিছু বোঝা যায় না। ধারণা করা হচ্ছে লাশটি নিখোঁজ আবদুল মালেকের। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ব্রজেন সরকার জানান, গুদামগুলোতে বিভিন্ন দাহ্য রাসায়নিক ছিল। আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। তদন্ত কমিটি ক্ষতি নিরূপণের কাজ করছে।