৭ দিনের মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে শূন্য পদে চিকিত্সক পদায়ন
ইত্তেফাক রিপোর্ট
আগামী সাত দিনের মধ্যে পার্বত্য অঞ্চলে চিকিত্সকদের শূন্য পদ পূরণ করতে যাচ্ছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল বুধবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একথা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, গতকাল অনুষ্ঠিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার এবং এর কার্যকারিতা যথাযথভাবে প্রয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। এলক্ষ্যে এই তহবিলের অর্থ ব্যয়ের বিষয়টি পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের তদারকির আওতায় আনার সুপারিশ করেছে কমিটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি পার্বত্য অঞ্চলে পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের যেসব কার্যক্রম রয়েছে আইন অনুযায়ী সেসব কার্যক্রম যতদ্রুত সম্ভব হস্তান্তরের এবং বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল সুরক্ষা ও এজন্য সংশ্লিষ্টদের আরো যত্নবান হওয়ার সুপারিশ করা হয়।
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে পার্বত্য অঞ্চলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় কর্তৃক যে সকল বদলি করা হয়, সে বিষয়ে পার্বত্য জেলার সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদের অনুমোদন এবং মন্ত্রণালয় ও জেলা পরিষদকে অবহিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এছাড়া পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা যেসব বরাদ্দ ও উন্নয়নমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে, তা মূল বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সমস্ত বরাদ্দের অনুলিপি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।
বৈঠকে কমিটির সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহাদুর উ শৈ সিং, এম. আবদুল লতিফ, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, উষাতন তালুকদার, ফিরোজা বেগম (চিনু) ও এম এ আউয়াল অংশ নেন। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জানানো হয়, ১৯৭২ সালে এডিপির আকার ছিল ৫০১ কোটি টাকা, যা ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত হয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা চলমান রয়েছে (২০১১-২০১৫)। এ পরিকল্পনার স্থলে সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১৬-২০২০) প্রণয়নের কার্যক্রম সম্পর্কে বৈঠকে অবহিত করা হয়।
কমিটির সদস্য ও পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, শওকত আলী ও মুহিবুর রহমান মানিক বৈঠকে অংশ নেন।