কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, 'আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজন আছে। শিক্ষা বিস্তারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা আছে। কিছু কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম-কানুন না মানলেও অল আর নট চোরস।' দেশে ৭৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৮টি বিশ্ববিদ্যালয় সব নিয়ম-কানুন মেনে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হবে। আইন না মেনে কোনো বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারবে না।'
মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে আয়োজিত 'বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিতকরণের কৌশল' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান (প্রতিমন্ত্রী) প্রফেসর ড. এ কে আজাদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. জোহানেস জাট ও ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. এম. মুহিবুর রহমান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষার মানোন্নয়নকে প্রধান চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার সংখ্যাগত বিস্ফোরণ ঘটলেও গুণগত মানের বিচারে আমরা এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত হতে পারিনি। এ জন্য আমাদের এক নম্বর চ্যালেঞ্জ হচ্ছে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করা।
বিশ্ব ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর জোহানেস জাট বলেন, বাংলাদেশে শিক্ষার হার বাড়লেও মানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। শিক্ষার মানোন্নয়নে বাংলাদেশকে কাজ করতে হবে।
এ কে আজাদ চৌধুরী তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে পাঁচ-সাতটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মানের দিক থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। পাঁচটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪০টি শাখা ক্যাম্পাস আছে। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তারা উচ্চ আদালতের স্থগিতাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় চালায়। তিন-চার বছর ধরে মামলা চলে। তিনি প্রশ্ন করেন, এই সময়ে যারা পাস করে তাদের দায়িত্ব কে নেবে?
তিনি বলেন, সংখ্যাগত বৃদ্ধির পাশাপাশি উচ্চশিক্ষার গুণগত মান অর্জনের ক্ষেত্রে আমরা যে ধারাবাহিক উদ্যোগ গ্রহণ করে চলেছি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল প্রতিষ্ঠা এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই উদ্যোগের ধারাবাহিকতায় শীঘ্রই দেশে অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল গঠন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতকরণে কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স (কিউএ) ইউনিট গঠন করে ইউজিসি। এক্ষেত্রে তিনশ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের কিউএ ইউনিট গঠন করা হবে।