দেশে আজকের এই অসহনীয় বিপর্যস্ততার জন্য দায়ী বর্তমান রাজনীতি। কেননা অনেক রাজনীতিবিদই ত্যাগে বিশ্বাস না করে ভোগে বিশ্বাস করেন। তাদের ধারণা বাঙালি যেখানে দারিদ্র্যের আশ্রয়ে মৌন, নিরীহ সেখানে অতি সমাদরের প্রয়োজন কি ? বুঝিয়ে-শুনিয়ে ক্ষমতায় এলেই ঝামেলা শেষ। তাই সরকারে যেই থাকুক না কেন এরা কেউই বাঙালির মাসী নয় যে আদর করে কোলে নিবে, যে কারণে বাঙালি মা হলেও পরাধীন মাসী হলেও পরাধীন। সুতরাং বিএনপির বর্তমান সরকার-বিরোধী আন্দোলনে নিরর্থক সমর্থনের প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করছি না।
হাফিজ আমান
অর্থনীতি বিভাগ
আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ,ঢাকা
জনগণের স্বার্থ রক্ষায় সচেষ্ট হোন
বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের আন্দোলন মানেই এখন হত্যা, গুম, ককটেল ফোটানো। ফলশ্রুতিতে এসব আন্দোলনে অত্যাচারের মর্টার শেল গিয়ে বিঁধে সাধারণ জনগণের গায়ে। মাত্র কয়েকদিন আগে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা তাই মনে করিয়ে দেয়। আবার বিএনপির আন্দোলনের ডাক। কেন এই আন্দোলন? আবারো সেই গাড়ি ভাংচুর, বোমাবাজি, লুটতরাজ, হানাহানি? সাধারণ মানুষ দু'মুঠো ভাত খেয়ে শান্তিতে বাঁচতে চায়। আন্দোলনের বলি হতে চায় না। কোন দলের কোন দাবি থাকলে শান্তিময় সংগ্রামের মাধ্যমে দাবি আদায়ের চেষ্টা করুন। নিজ দলের ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে জনগণের ক্ষতি করবেন না।
মো. মাহবুবুর রহমান
৩য় বর্ষ
এগ্রিবিজনেস ম্যানেজমেন্ট অনুষদ
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়
বিএনপির সরকার পতনের আন্দোলন অপ্রয়োজনীয়
দেশে বর্তমানে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করছে। হয়ত আমরা আমাদের চাহিদা এবং প্রাপ্তির ভারসাম্য করতে পারছি না। তারপরও বলব আমরা সামান্য হলেও সুখে আছি। এখন বিএনপির আন্দোলন দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে শুধু অস্থিতিশীলই করবে না বরং দেশের সাধারণ মানুষের সেই সামান্যতম সুখটুকুও বিনষ্ট করবে। তাই আমি মনে করি এখন বিএনপির আন্দোলনের কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। তাদের উচিত বর্তমান সরকারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে সাধারণ মানুষের সেই সামান্যতম সুখকে বাড়ানোর চেষ্টা করা।
আবদুল্লাহ আল নোমান
গণিত বিভাগ(১ম বর্ষ),
ঢাকা কলেজ, ঢাকা
বিএনপিকে অবশ্যই আন্দোলনে নামতে
হবে, কিন্তু...
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসেনি।আমি সরকার দলীয় ও বিরোধী দলীয় সকল নেতা-নেত্রীকে বলতে চাই দেশটা কোন রাজনৈতিক দলের পৈতৃক সম্পত্তি নয়, একে নিয়ে ভাগাভাগি করবেন, প্রবঞ্চনা করবেন। পশ্চিমা বিশ্বের দিকে তাকিয়ে দেখেন তারা রাজনীতি করে প্রতিদ্বন্দ্বী নয় বরং প্রতিযোগী হয়ে। একটি রাজনৈতিক দল অন্য একটি রাজনৈতিক দলকে শ্রদ্ধা-সম্মান করে মিডিয়ার সামনে কথা বলে। সরকারের মুখোশ খুলতে বিরোধী দলের ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু আন্দোলনের নামে যদি হয় জ্বালাও, পোড়াও তবে বিএনপি'র প্রতি সাধারণের যে বিশ্বাস আছে সেটা ধূলিস্যাত্ হয়ে যাবে।
এ,কে,এম ফরহাদ উদ্দিন রেজা,
দাওয়াহ এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ
বি,টি,আই, এস (অনার্স), চতুর্থ বর্ষ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া
সরকার পতনে বিএনপি'র আন্দোলন হতে হবে জনগণের স্বার্থে, নিজ দলীয় স্বার্থে নয়
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন ঘটানোর জন্য বিএনপি কঠোর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। তারা বলছে অবৈধ সরকারকে যেভাবেই হোক পতন ঘটাতে হবে। কিন্তু বিএনপি কি জনগণের জন্য কোন আন্দোলন করেছে। অবশ্যই না। কারণ তারা যদি জনগণের জন্য আন্দোলন করতো তাহলে তারা শুধু বৈধ আর অবৈধ সরকার নিয়েই ব্যস্ত থাকতো না। অর্থাত্ তারা ক্ষমতা লাভের জন্যই লড়াই করেছে। তবে বিএনপি যদি সত্যই জনগণের জন্য জ্বালাও-পোড়াও না করে সমঝোতার পথ বেছে নিতো তাহলে তাদের এ করুণ দশা হতো না। অতএব বিএনপির উচিত জনগণের জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা।