দেশের বাজারে স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত পণ্য বিক্রি বাড়ছে। ফলে কমছে আমদানি পণ্যের একচেটিয়া বাজার। স্থানীয় পর্যায়ে উত্পাদিত পণ্যের মান ও মূল্য সাশ্রয়ী হওয়ায় এমনটা হচ্ছে। এরসঙ্গে সরকারের নীতি সহায়তা পেলে সম্ভাব্য সকল ক্ষেত্রে দেশীয় শিল্প চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
স্থানীয়ভাবে উত্পাদিত অনেক পণ্য বিশেষ করে তৈরি পোশাক, জাহাজ, ইলেক্ট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত পণ্য, প্লাস্টিক, আইসিটি, কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যসমূহ শুধুমাত্র নিজ দেশেই প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হয়নি। দেশের বাইরেও বিদেশী পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করছে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এর অতিরিক্ত গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, শিল্পজাত দ্রব্যের অভ্যন্তরীন চাহিদা বৃদ্ধির পেক্ষাপটে স্থানীয় শিল্পের বিকাশও ক্রমশ বাড়ছে। ফলে স্থানীয় শিল্প রফতানীমুখি হয়ে উঠছে। সিমেন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স ও ঔষধ শিল্পের উদাহারন দিয়ে তিনি বলেন, এই শিল্পগুলো প্রথমে স্থানীয় বাজারে বিস্তৃতি লাভ করেছে। তারপর বিভিন্ন দেশে নিজস্ব পণ্য রফতানি শুরু করেছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম বলেন, বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য খুবই উচ্চমানের এবং অনেক ক্ষেত্রে চীনা পণ্যের চেয়েও ভালো। এক সময় চীনা অর্থনীতির প্রভাবে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা হুমকির মুখে ছিলো। কিন্তু বর্তমানে মান ও দামের বিচারে বাংলাদেশী পন্য চীনা পন্য থেকে অনেক সুবিধা জনক অবস্থানে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিশ্ব প্রযুক্তির রাজধানী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এটা হলে বাংলাদেশ বিশ্ববাসীকে আকর্ষণীয় প্রযুক্তির পণ্য উপহার দিতে সক্ষম হবে।
বাংলাদেশ ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজ ওনারস এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সেলিম এইচ রহমান বলেন, বিদেশী পণ্যের স্থলাভিসিক্ত হচ্ছে দেশি পণ্য এটা খুবই ভাল দিক এবং এ কৃতিত্ব তরুণ উদ্যোক্তাদের।