উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে চিকিত্সক সংকটের কারণে চিকিত্সা সেবা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষ চিকিত্সাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলায় ৩ লক্ষাধিক মানুষের চিকিত্সাসেবা নিশ্চিত কমপ্লেক্সটিকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও প্রয়োজনীয়সংখ্যক চিকিত্সক না থাকায় চিকিত্সাসেবার কোন পরিবর্তন হয়নি। ৯ জন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকসহ ২৬ জন চিকিত্সকের স্থলে সেখানে রয়েছে মাত্র ৩ জন।
জানা যায়, হাসপাতালে সার্জারি, মেডিসিন, গাইনি, ডেন্টাল, এ্যানেসথেসিয়া, চক্ষু, নাক, কান, গলা, অর্থপেডিক, সার্জারী শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক না থাকায় সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এদিকে গাইনি চিকিত্সক না থাকায় প্রসূতিরা সেবা নিতে পারছেন না। এছাড়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অবস্থাও শোচনীয়। নাজিমখাঁন উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও ছিনাই ইউপির পাঙ্গা উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন করে মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ও একজন করে ভিজিটর আছেন। কিন্তু তারা আবার সেখানে থাকেন না। বাকি উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে কোন ডাক্তার নেই।
এদিকে নেদারল্যান্ড সরকারের অর্থায়নে বিদ্যানন্দ, ঘড়িয়ালডাঙ্গা, উমরমজিদ, রাজারহাট ও চাকিরপশার ইউনিয়নের নির্মিত উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো সরকারের উন্নয়ন খাতে হওয়ায় এগুলোতে ডাক্তার দেয়া হয়নি। এ ব্যাপারে উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা কে কে পাল জানান, শূন্যপদে চিকিত্সক নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু কাজ হচ্ছে না।