রাজধানীতে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও মুক্ত চলচ্চিত্র উত্সব। বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরামের আয়োজনে ১৯৮৮ সাল থেকে নিয়মিত হয়ে আসা এ উত্সবের এটি ১২তম আসর। সপ্তাহব্যাপী এবারের আসরে বাংলাদেশসহ ২৮টি দেশের দুই শতাধিক স্বল্পদৈর্ঘ্য ও পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হচ্ছে। উত্সবটি গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও চিত্রগ্রাহক মিশুক মুনীরকে উত্সর্গ করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কেন্দ ীয় গণগ্রন্থাগারের চত্বরে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে উত্সবের উদ্বোধন করা হয়। এর সাথে ছায়ানটের শিল্পীরা পরিবেশন করেন জাতীয় সঙ্গীত। এরপর একই স্থানের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। উত্সব আয়োজক পরিষদের সভাপতি হাসনাত আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন পরিষদের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ, শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি মোরশেদুল ইসলাম ও উত্সব পরিচালক এন রাশেদ চৌধুরী।
এবারের উত্সবের মূল কেন্দ পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনের পাশাপাশি শিল্পকলা একাডেমী, জাতীয় জাদুঘর ও ব্রিটিশ কাউন্সিলে প্রতিদিন বেলা ১১টা, বেলা ৩টা, বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা ৭টায় চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
উত্সবে বাংলাদেশ ছাড়াও অংশ নিচ্ছে বেলজিয়াম, পোল্যান্ড, ভারত, নেপাল, যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, শ্রীলংকা, বুরুন্ডি, আফগানিস্তান, যুক্তরাজ্য, আর্মেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ক্রোয়েশিয়া, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, সুইডেন, হল্যান্ড, ডেনমার্ক, রাশিয়া, ইতালি, পাকিস্তান, তাইওয়ান, জাপান, সিঙ্গাপুর, কানাডা, সার্বিয়া ও ত্রিনিদাদ এন্ড টোবাগো।
উত্সবে আলমগীর কবির স্মারক বক্তৃতা, তারেক মাসুদ শ্রদ্ধাঞ্জলি ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, স্পটলাইট : বুরুন্ডি ফিল্ম সেন্টার, জাতীয় সেমিনার, 'ক্রিস মার্কার রেট্রোস্পেকটিভ', নারী অধিবেশনসহ নানা আয়োজন থাকছে। এবারের উত্সবে পাঁচটি বিভাগে পুরস্কার প্রদান করা হবে। বিভাগগুলো হলো—'তারেক শাহরিয়ার বেস্ট ইন্ডিপেন্ডেন্ট শর্টস্' চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য 'হীরালাল সেন আজীবন সম্মাননা', 'তারেক মাসুদ পুরস্কার', আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র কাহিনীচিত্র (স্বল্পদৈর্ঘ্য) এবং আন্তর্জাতিক শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র প্রামাণ্যচিত্র।
চ্যানেল আই-বাংলালিংক বিজয়মেলা
বিজয় দিবস উপলক্ষে বরাবরের মতো এবারো দিনব্যাপী বিজয় মেলার আয়োজন করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল 'চ্যানেল আই'। রবিবার বিজয় দিবসে চ্যানেল আই চত্বরে এ মেলা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবারের মতো এবারো থাকবে বৈচিত্র্যময় ও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন। এবারের বিজয়মেলায় সহযোগিতা করছে বাংলালিংক।
বৃহস্পতিবার দুপুরে চ্যানেল আই কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, বাংলালিংকের পি আর এন্ড কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার শেহজাদ সারওয়ার হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে মেজর (অব.) কামরুল হাসান ভুঁইয়া।
সাংবাদিক সম্মেলনে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর সকালে শান্তির প্রতীক কবুতর উড়িয়ে জাঁকজমকপূর্ণ এই মেলার উদ্বোধন করবেন খেতাবধারী ২২ জন বীরউত্তম, বীর প্রতীক ও বীর বিক্রম। তাদের সঙ্গে থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর কমান্ডার, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দে র শিল্পী, কলা-কুশলী, নারী মুক্তিযোদ্ধা, স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সদস্যসহ দেশবরেণ্য ব্যক্তিত্ববর্গ। ঐদিন ২২ জন খেতাবধারী মুক্তিযোদ্ধাকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হবে। মেলায় ৭ বীরশ্রেষ্ঠের নামে ৭টি স্মারক স্তম্ভ এবং ১১ সেক্টরের স্মরণে ১১টি স্থান নির্দিষ্ট থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের গ্রন্থমালা, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র, মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র, মুক্তিযোদ্ধাদের ডায়েরী প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধ প্রতিদিনের স্টল থাকবে। মেলায় দেশের খ্যাতনামা চিত্রশিল্পীর অংশগ্রহণে থাকবে আর্ট ক্যাম্প।