জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে ও কালক্ষেপণ না করে অন্য যুদ্ধাপরাধীদের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে গণমিছিল করেছে 'বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও' নামে একটি সংগঠন। সংগঠনের নেতৃবন্দ বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়তে যত বাধাই আসুক না কেন আমরা সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করবো। মুক্তিযুদ্ধকে যারা অস্বীকার করে, তারা এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না। গতকাল শনিবার সকালে কেন্দ ীয় শহীদ মিনারে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন ও সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড অনিসুজ্জামানের সূচনা বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে গণমিছিলের যাত্রা শুরু হয়। গণমিছিলে অংশ নেন শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্যরা। মিছিলটি কেন্দ ীয় শহীদ মিনার থেকে দোয়েল চত্বর, টিএসসি হয়ে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের আহবায়ক মানবাধিকারকর্মী এডভোকেট সুলতানা কামাল। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক, অধ্যাপক এমএম আকাশ, সাংবাদিক আবেদ খান, সাংবাদিক শাহীন রেজা নূর, ডা. সারওয়ার আলী, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি তারিক আলী প্রমুখ।
অধ্যাপক আনিসুজ্জামান বলেন, এই দেশকে মেধাশূন্য করতে, পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে ১৪ ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষশক্তি আঘাত হেনেছিল। সেই আঘাতের অংশ হিসেবে বুদ্ধিজীবী নিধন করা হয়। অপরাপর রাজনৈতিক শক্তি নিতান্ত সংকীর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই ঘাতকদের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করছে। মানুষের জীবনবিনাসে আনন্দিত হবার কিছু নেই। কিন্তু মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য প্রথম যে সাজা কার্যকর হয়েছে তাকে আমরা ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখতে পাই।
এডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বন্ধ করা এবং জামায়াতে ইসলাম ও ছাত্রশিবিরকে ছাত্র সংগঠন হিসেবে না দেখে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য তাদের নিষিদ্ধ করা হোক। তারা এই দেশে রাজনীতি করতে পারবে না, আজকে আমাদের সেটাই মূল দাবি।