তথ্য এবং সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, দেশের মানুষের জান-মাল ও সম্পত্তি রক্ষায় সরকারের পক্ষে যা যা উদ্যোগ গ্রহণ করা দরকার তাই করা হবে। বিদ্যমান আইন-শৃংখলা পরিস্থিতির অগ্রগতিতে আশু করণীয় সম্পর্কে কতিপয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এসব সিদ্ধান্ত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাকে জানিয়ে দেয়া হবে।
গতকাল রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভাশেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তবে এ ধরনের বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমে বিফ্রিং করে সিদ্ধান্ত জানানো হয়ে থাকে। কিন্তু আড়াই ঘন্টা ধরে চলা গতকালের এ বৈঠকের পর কোন বিফ্রিং করা হয়নি। ভূমি, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে শুরু হয় বেলা তিনটার দিকে। শেষ হয় বিকাল ৫-২০ মিনিটে। উপস্থিত ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রেল ও ধর্মমন্ত্রী মুজিবুল হক, জাতীয় পার্টির নেতা ও পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, মহা-পুলিশ পরির্দশক হাসান মাহমুদ খন্দকারসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সভাটি ছিলো আইন-শৃংখলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির নিয়মিত সভা। সভায় দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ও আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থাপিত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী দেশের ১০টি জেলায় জামায়াত-শিবির সহিংসতা চালাচ্ছে। এসব জেলায় বিশেষ নজর দেয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়। পাশপাশি সাম্প্রতিক সময় চলমান সহিংসতার খবর সংবাদ মাধ্যমে যেভাবে প্রচার হচ্ছে তা যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না করে সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম বলেছেন, 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া সুখবর না হলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন করতে হচ্ছে'। আপনিও কি তাই মনে করেন?