সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কঠোর আন্দোলন :খালেদা জিয়া
সমঝোতা বৈঠক আপাততঃ আর হবে না
আনোয়ার আলদীন
নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে সমঝোতায় আসতে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপাতত: আর কোন সমঝোতা বৈঠক হচ্ছে না। গত শনিবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ১৫৪ জন প্রার্থী বিজয়ী হয়ে যাওয়ার পর নির্বাচন নিয়ে সৃষ্ট সঙ্কট নিরসনে বিএনপি আর সমঝোতা বৈঠক করতে আগ্রহী নয়। দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া গতকাল রাতে বলেছেন, সমঝোতার নামে সরকার নাটক করছে। আর পেছনের ফিরে তাকানোর অবকাশ নেই। এখন থেকে সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কঠিন আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে। গতকাল চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেনের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশত আইনজীবী গুলশান অফিসে বেগম জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করতে গেলে তিনি একথা বলেন।
এদিকে আগামীকাল অথবা বুধবার থেকে আবারো রাজপথ, রেলপথ ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল। এছাড়া দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য ভোট কেন্দ্র ভিত্তিক প্রতিরোধ কমিটিগুলো প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত চিঠি জেলা কমিটিগুলোর কাছে প্রেরণ করা হয়েছে।
গতকাল আইনজীবীদের বৈঠকে বেগম খালেদা জিয়া তাদেরকে প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে থাকতে নির্দেশনা দিয়েছেন। বেগম জিয়া বলেন, এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলবে ধারাবাহিক। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার আবদুর রাজ্জাক, বাবু নিতাই রায় চৌধুরী, এ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, এ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, এ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া প্রমুখ।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ইত্তেফাককে বলেছেন, সরকারের নাটক পরিষ্কার হয়ে গেছে। এখন দাবি বাস্তবায়িত না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন কঠোর থেকে কঠোরতর হতে থাকবে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, এখন আন্দোলন করেই দাবি আদায় করা হবে। রাজপথেই হবে ফয়সালা।
উল্লেখ্য, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন ২৬ নভেম্বর থেকে শুক্রবার ছাড়া তিন দফায় ১৫ দিন অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি নেতৃত্বধীন ১৮ দলীয় জোট। গত শুক্রবার সকাল ৬টায় এই কর্মসূচি শেষ হয়।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. নাসিম বলেছেন, 'বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়া সুখবর না হলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন করতে হচ্ছে'। আপনিও কি তাই মনে করেন?