দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন যেসব এলাকায় ভোট হবে সেখানে যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল মঙ্গলবার কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহবুব-উল আলম হানিফ। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, হানিফ তার বৈধ অস্ত্রটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনামত জমা দিয়েছেন। এখন তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে। কুষ্টিয়া-৩ আসনের প্রার্থী হানিফ। এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থী নিরাপত্তা চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছিলেন।
যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নির্বাচন উপলক্ষে ৫টি জেলা (জয়পুরহাট, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও চাঁদপুর) ব্যতীত সমগ্র দেশে আগামী ৪ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত বেবী ট্যাক্সি/অটোরিক্সা/ইজিবাইক, ট্যাক্সি ক্যাব, মাইক্রোবাস, জীপ, পিকআপ, কার, বাস, ট্রাক, টেম্পো চলাচল বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে ৩ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত মোটর সাইকেল চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা বলবত্ থাকবে।
তবে এ নিষেধাজ্ঞা রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী/তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকা সাপেক্ষে) ক্ষেত্রে শিথিল যোগ্য। তাছাড়াও নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক, নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুত্, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ কাজে ব্যবহূত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। এ আদেশ বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক/মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ও কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য অনুরোধ করেছে কমিশন।